Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১

প্রডিউসার গ্রুপ গঠন ও সংহতকরণ বিষয়ে আট বিভাগে আটটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2021-11-29

প্রডিউসার গ্রুপ গঠন সংহতকরণ বিষয়ে আট বিভাগে আটটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত

 

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর আওতায় দেশের ৬১টি জেলায় প্রান্তিক খামারিদের নিয়ে ভ্যালুচেইন ভিত্তিক ৫,৫০০টি প্রডিউসার গ্রুপ গঠনের কাজ চলছে। এর মধ্যে গাভীর ৩,৩৩৪টি, গরু মোটাতাজাকরণের ৬৬৬টি, ছাগল ও ভেড়ার ৫০০টি এবং দেশি মুরগির জন্য ১০০০টি গ্রুপ হবে। সমবায়ের ভিত্তিতে গঠিত প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ২০ থেকে ৪০ জন প্রান্তিক খামারি, যাদের একটি বড় অংশ আসবে নারীদের মধ্য থেকে।

 

এভাবে ১,৬৫,০০০ পরিবার বিভিন্ন গ্রুপে সংযুক্ত হবে। তাদেরকে প্রকল্প থেকে জ্ঞান, প্রযুক্তি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। খামার ব্যবস্থাপনা, প্রাণিসম্পদ পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ, বাজারজাতকরণ, ব্যবসা সম্প্রসারণ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সহযোগিতা দেয়া হবে, যাতে দেশে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন, উৎপাদনশীলতা, বিপনন ও সার্বিক মান বৃদ্ধি পায়। ইতোমধ্যে ২২০০টি প্রডিউসার গ্রুপ গঠিত হয়েছে। অবশিষ্ট গ্রুপগুলো গঠণের কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে।

 

প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত “মাঠ পর্যায়ে প্রডিউসার গ্রুপ” গঠনের এ কাজটি বাস্তবায়িত হচ্ছে মূলত: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও এলডিডিপি কর্তৃক নিয়োজিত প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে। এ সকল কর্মকর্তাকে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন ও সংহতকরণ বিষয়ে অধিকতর দক্ষ করা, অগ্রগতি পর্যালোচনা করা এবং পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি সারাদেশে বিভাগীয় পর্যায়ে মোট আটটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

 

৪ থেকে ২৮ নভেম্বর ২০২১ তারিখের মধ্যে এ কর্মশালা আটটি আয়োজন করা হয়। প্রকল্পের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে কারিগরি সেবা প্রদানের অংশ হিসেবে বিভাগীয় কর্মশালাগুলো যৌথভাবে আয়োজনের দায়িত্ব পায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। কর্মশালাগুলোতে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তগণ এবং আটটি বিভাগ, ৬১টি জেলা ও ৪৬৫টি উপজেলার প্রায় ৮০০ জন বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও সমমানের কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন বিভিন্ন বিভাগে নিয়োজিত এলডিডিপি’র  আরো মোট প্রায় ৪৫০ জন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা।

 

প্রথম বিভাগীয় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় ৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউশন বাংলাদেশের সেমিনার হলে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব জনাব সুবোল বোস মনি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে এফএও এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. রবার্ট ডি. সিম্পসন এবং বিশ^ব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট ক্রিস্টিয়ান বার্জার। কর্মশালায় সভাপতিত্ত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা।

 

 

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাননীয় মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে সরকার প্রাণিসম্পদ খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে সরকার উদ্যোক্ত সৃষ্টি করছে, যাতে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল এবং উন্নত প্রাণিসম্পদ গড়ে তুলতে তিনি আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে সাথে কাজ করে যেতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।

 

মাননীয় মন্ত্রী আরো বলেন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধারায় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এ খাতে সম্পৃক্তদের হতে হবে গ্রামীণ মানুষদের সহায়ক শক্তি। বাস্তব অভিজ্ঞতা ও পারিপাশির্^ক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রান্তিক মানুষদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর এভাবে আমরা টেকসই উন্নয়ন করতে চাই।

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, এলডিডিপি’র প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব জনাব মো: আব্দুর রহিম এবং এফএও-এর ন্যাশনাল এ্যানিমেল হেলথ এক্সপার্ট ড. এ.কে.এম. মোস্তফা আনোয়ার।

 

কর্মশালায় প্রকল্পের কার্যক্রম, এফএও প্রদত্ত প্রযুক্তিগত সেবার অগ্রগতি এবং খামারিদের নিয়ে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন ও সংহতকরণ বিষয়ের উপর আমন্ত্রিতি অতিথি ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনটি প্রেজেন্টেশন তুলে ধরা হয়। এলডিডিপির চীফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ড. মো: গোলাম রাব্বানী, এফএও-এর টিম লিডার ড. জুলিয়াস মুচিমি এবং এফএও-এর ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ড. খান শহিদুল হক যথাক্রমে প্রেজেন্টেশন তিনটি উপস্থাপন করেন। প্রেজেন্টেশনগুলোর উপর অংশগ্রহণকারীগণ গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন।

 

দ্বিতীয় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় ১০ নভেম্বর ২০২১ তারিখে বরিশালে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির অডিটোরিয়ামে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ড. দেবাশীষ দাস। কর্মশালায় সভাপতিত্ত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ মো: নুরুল আলম।

 

ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে আমরা সম্ভব সবকিছু করছি। এলডিডিপি’র মাধ্যমে খামারিদের নিয়ে গ্রুপ গঠন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আর্থিক ও যন্ত্রপাতি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে যাতে দেশজ প্রাণিসম্পদের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। তিনি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনেরও আহবান জানান।

 

তৃতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় ১১ নভেম্বর ২০২১ তারিখে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে। প্রধান অতিথি ছিলেন জনাব সুবোল বোস মনি, অতিরিক্ত সচিব, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: আব্দুর রহিম, প্রকল্প পরিচালক, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং যুগ্ম সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। কর্মশালায় সভাপতিত্ত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের পরিচালক ডাঃ সুখেন্দু শেখর গায়েন।

 

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জনাব সুবোল বোস মনি বলেন, মানুষের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এসেছে। আমিষের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান এ চাহিদা পূরণে প্রান্তিক পর্যায়ে প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। তিনি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনেরও আহবান জানান।

 

পরবর্তী কর্মশালাটি ছিল রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও সমমানের কর্মকর্তা এবং প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নিয়ে। এটি অনুষ্ঠিত হয় ১৩ নভেম্বর ২০২১ তারিখে বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে। প্রধান অতিথি ছিলেন জনাব এস এম ফেরদৌস আলম, অতিরিক্ত সচিব, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন জনাব মো: আব্দুর রহিম, প্রকল্প পরিচালক, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং যুগ্ম সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। কর্মশালায় সভাপতিত্ত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক ড. উত্তম কুমার দাস।

 

পঞ্চম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় ১৫ নভেম্বর ২০২১ তারিখে রংপুর দিনাজপুর রুরাল সার্ভিসেস (আরডিআরএস) অডিটোরিয়ামে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জনাব মো: তৌফিকুল আরিফ, অতিরিক্ত সচিব, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: আব্দুর রহিম, প্রকল্প পরিচালক, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং যুগ্ম সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। কর্মশালায় সভাপতিত্ত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগের পরিচালক ড. মো: ইসমাইল হক।

 

ষষ্ঠ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় ২০ নভেম্বর ২০২১ তারিখে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে। প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) ডাঃ দীপক রঞ্জন রায়। কর্মশালায় সভাপতিত্ত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচালক ডাঃ সুশান্ত কুমার হালদার।

 

সপ্তম কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় ২২ নভেম্বর ২০২১ তারিখে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স হলে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন ছিলেন ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনাব মো: আব্দুর রহিম, প্রকল্প পরিচালক, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং যুগ্ম সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। কর্মশালায় সভাপতিত্ত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের পরিচালক ড. অমলেন্দু ঘোষ।

 

প্রডিউসার গ্রুপ গঠন ও সংহতকরণ বিষয়ক অষ্টম এবং শেষ বিভাগীয় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় ২৮ নভেম্বর ২০২১ তারিখে চট্টগ্রাম ভেটেরেনারি ও এ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ^বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো: কামরুল হাসান, এনডিসি এবং বাংলাদেশে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ জনাব বাখ্হোদুর ইসোনভ। সভাপতিত্ত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা।

 

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন জনাব মো: আব্দুর রহিম, প্রকল্প পরিচালক, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং যুগ্ম সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদান) ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান।

 

সর্বশেষ এ বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও এর অধীনে বাস্তবায়নাধীণ এলডিডিপিসহ বিভিন্ন প্রকল্প নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বৈশি^ক প্রেক্ষাপটে খামার ব্যবস্থাপনা, পশুখাদ্য, প্রাণিস্বাস্থ্য, মান নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমাদের আরো অনেক পথ যেতে হবে। নিরাপদ দুধ সংগ্রহ ও পরিবহন পদ্ধতি, যথাযথভাবে পশু জবাই, ডিমের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ব্যবহার, পশুখাদ্যের গুণগত মান বজায় রাখা ইত্যাদি বিষয়ের উপরেও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি পশু শুমারীর কাজ ত্বরান্বিত করার বিষয়েও সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 

 

সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের কঠিন সময়টাতে সারা বাংলাদেশ যখন ঘুমিয়ে ছিল, তখনও আমরা জেগে ছিলাম। খামারিদের পাশে ছিলাম, দেশবাসীর পাশে ছিলাম। আপনারা যাাঁরা মাঠ পর্যায়ে কর্মরত আছেন তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম, সৎসাহস আর মানবতা বোধের কারণে সেটা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা আগামী দিনগুলোতেও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে একযোগে কাজ করে যাবো, ইনশাল্লাহ। আর তাহলেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিনত হওয়া সহজতর হবে।

 

আটটি কর্মশালার প্রতিটিতেই এলডিডিপি প্রকল্পের কার্যক্রম, এফএও প্রদত্ত প্রযুক্তিগত সেবার অগ্রগতি এবং খামারিদের নিয়ে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন ও সংহতকরণ বিষয়ে উল্লিখিত প্রেজেন্টেশন তিনটি উপস্থাপন করা হয়। প্রান্তিক খামারিদের নিয়ে প্রোডিউসার গ্রুপ গঠনের উদ্দেশ্য ও প্রক্রিয়া, এর ক্যারেকটারাইজেশন, মোবিলাইজেশন এবং কাক্সিক্ষত ফলাফল বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রশ্ন-উত্তরের মধ্য দিয়ে মাঠ পর্যায়ে গ্রুপ গঠনের সুবিধা, অসুবিধা ও অগ্রগতির চিত্র উঠে আসে। এছাড়া যথাযথভাবে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন ও সংহতকরণের লক্ষ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড লাইন প্রণয়নে সহায়ক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও পরামর্শ পাওয়া যায়।

# # #

 

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon