খুলনায় প্রডিউসার গ্রুপ গঠন ও সংহতকরণ বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত
“প্রডিউসার গ্রুপ গঠন ও সংহতকরণ” বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ১১ নভেম্বর ২০২১ তারিখে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে যৌথভাবে বিভাগীয় পর্যায়ের এ কর্মশালা আয়োজন করে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জনাব সুবোল বোস মনি, অতিরিক্ত সচিব, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: আব্দুর রহিম, প্রকল্প পরিচালক, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং যুগ্ম সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। কর্মশালায় সভাপতিত্ত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের পরিচালক ডাঃ সুখেন্দু শেখর গায়েন। এতে প্রাণিসম্পদ খাতের খুলনা বিভাগের মোট প্রায় ১০০ জন জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা যোগ দেন। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এলডিডিপির প্রায় ৬০ জন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা যুক্ত হন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জনাব সুবোল বোস মনি বলেন, মানুষের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এসেছে। আমিষের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান এ চাহিদা পূরণে প্রান্তিক পর্যায়ে প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। তিনি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনেরও আহবান জানান।
কর্মশালায় প্রকল্পের কার্যক্রম, এফএও প্রদত্ত প্রযুক্তিগত সেবার অগ্রগতি এবং খামারিদের নিয়ে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন ও সংহতকরণ বিষয়ের উপর তিনটি প্রেজেন্টেশন তুলে ধরা হয়। এলডিডিপির চীফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ড. মো: গোলাম রাব্বানী, এফএও-এর টিম লিডার ড. জুলিয়াস মুচিমি এবং এফএও-এর ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ড. খান শহিদুল হক যথাক্রমে প্রেজেন্টেশন তিনটি উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এফএও-এর ন্যাশনাল এ্যানিমেল হেলথ এক্সপার্ট ড. এ.কে.এম. মোস্তফা আনোয়ার।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, এলডিডিপির মাধ্যমে দেশের ৬১টি জেলার ৪৬৫টি উপজেলায় প্রান্তিক খামারিদের নিয়ে প্রাণিসম্পদ উৎপাদনকারী দল গঠন করা হচ্ছে। সমবায়ের ভিত্তিতে গঠিত প্রতিটি দলে থাকবে ২০ থেকে ৪০ জন প্রান্তিক খামারি, যাদের একটি বড় অংশ আসবে নারীদের মধ্য থেকে।
কর্মশালায় প্রান্তিক খামারিদের নিয়ে প্রোডিউসার গ্রুপ গঠনের উদ্দেশ্য ও প্রক্রিয়া, এর ক্যারেকটারাইজেশন, মোবিলাইজেশন এবং কাক্সিক্ষত ফলাফল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রশ্ন উত্তরের মধ্য দিয়ে মাঠ পর্যায়ে গ্রুপ গঠনের সুবিধা, অসুবিধা ও অগ্রগতির চিত্র উঠে আসে যা এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড লাইন প্রণয়নে সহায়ক হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন