Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩

জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের সমাপন ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2023-01-18

জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের সমাপন ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)-এর জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আজ ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবার সিরডাপ মিলনায়তন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

জনাব শ ম রেজাউল করিম এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত থেকে ফেলো সাংবাদিকদের মাঝে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং ফেলোশিপ ও পুরষ্কারের অর্থ বিতরণ করেন।

 

 

সৈয়দ বোরহান কবিরের সঞ্চালনায় এবং কনসালটেন্সি ফার্ম পরিপ্রেক্ষিতের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাঃ মোঃ এমদাদুল হক তালুকদার, মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব জনাব মনজুরুল আহসান বুলবুল ও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক জনাব মো: আব্দুর রহিম ও চিফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ড. মো: গোলাম রব্বানী। এ সময় মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও প্রকল্পের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কনসালটেন্টবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় প্রকাশিত/প্রচারিত সেরা প্রতিবেদনের জন্য তিনটি ক্যাটাগরীতে মোট ১১ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। এর মধ্যে ৫ জন প্রিন্ট মিডিয়া, ৩ জন ইলেকট্রোনিক মিডিয়া এবং ৩ জন অনলাইন মিডিয়া থেকে পুরষ্কার লাভ করেন।

 

প্রথম পুরষ্কার হিসেবে এক লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় পুরষ্কার হিসেবে পঞ্চাশ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরষ্কার হিসেবে ২৫ হাজার টাকা, চতুর্থ পুরষ্কার হিসেবে পনের হাজার টাকা এবং পঞ্চম পুরষ্কার হিসেবে দশ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া ফেলোশিপের অর্থমূল্য হিসেবে সকল ফেলোকে ইতোপূর্বে যাতায়াত বাবদ পরিশোধিত পঁচিশ হাজার টাকার পাশাপাশি এ অনুষ্ঠানে প্রত্যেককে পঁচাত্তর হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

 

 

প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র রিপোর্টার এম এ জলিল মুন্না রায়হান। দ্বিতীয় স্থান দৈনিক ভোরের ডাকের স্টাফ রিপোর্টার বায়েজীদ মুন্সী, তৃতীয় স্থান দৈনিক দেশ রূপান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি উম্মুল ওয়ারা সুইটি, চতুর্থ স্থান দৈনিক আমার সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার বেলাল হোসেন এবং পঞ্চম স্থান অধিকার করেন দৈনিক জনকন্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার বিকাশ নারায়ণ দত্ত।

 

 

ইলেকট্রোনিক মিডিয়া ক্যাটাগরীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের সিনিয়র রিপোর্টার ফয়জুল সিদ্দিকী, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইউসুফ আলী এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন আরটিভির ইকনোমিক রিপোর্টার সেলিম মালিক।

 

অনলাইন মিডিয়া ক্যাটাগরীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার ইসমাইল হোসেন রাসেল, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন বার্তা টোয়েন্টিফোরের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট তরিকুল ইসলাম সুমন এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন ঢাকা পোস্টের স্টাফ রিপোর্টার শাহাদত হোসেন রাকিব।

 

প্রাণিসম্পদ খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও করণীয় বিষয়ে দেশের গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করা, উদ্বুদ্ধ করা ও গবেষণাধর্মী প্রতিবেদন প্রণয়নে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে গত ২৮ মে ২০২২ তারিখে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এলডিডিপি প্রকল্প জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করে। দেশের সম্ভাবনাময় ২০ জন সাংবাদিককে এ ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে প্রিন্ট মিডিয়া থেকে ১০ জন, ইলেকট্রোনিক মিডিয়া থেকে ৫ জন এবং অনলাইন মিডিয়া থেকে ৫ জন সাংবাদিক রয়েছেন।

 

 

ফেলো সাংবাদিকদেরকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং নিয়মিত ফিল্ড ভিজিটের আয়োজন করা হয়। প্রত্যেক ফেলো প্রাণিসম্পদের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রতি মাসে একটি করে রিপোর্ট প্রচার/প্রকাশ করেন।

 

 

প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিলো:

  • পশুপাখি লালন পালন, সংরক্ষণ, চিকিৎসা ও ব্যবসা সম্প্রসারণে খামারি ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা প্রদান এবং এসব কার্য্ক্রমের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা, সুফল, প্রভাব ইত্যাদি;
  • প্রাণিসম্পদ লালন-পালনে দেশের মহিলারা অনাদি কাল থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। তাদের সম্পৃক্ততা ও সাফল্য গাঁথা;
  • গবাদিপশুর জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রান্তিক খামারিদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে দেশে প্রথমবারের মতো চালু করা মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক ও এর অবদান;
  • গবাদিপশু পালন করতে যে বেশি জমি ও পুঁজির প্রয়োজন হয় না তা উল্লেখপূর্বক দেশবাসিকে, বিশেষ করে যুবসমাজ, নারী, বিদেশ ফেরৎ ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য প্রেরণামূলক প্রতিবেদন;
  • আমরা প্রায়ই মেধাবী জাতি গঠনের কথা বলি। এর পেছনে নিয়মিত দুধ পানের বিশেষ অবদান আছে। দেশবাসীকে, বিশেষ করে শিশুদেরকে এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিবেদন; 
  • উন্নত পদ্ধতিতে খামার ব্যবস্থাপনা, দুধ-মাংস প্রক্রিয়াকরণ ও মূল্য সংযোজন এবং ব্যবসা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রদত্ত বিভিন্ন সহযোগিতা সম্পর্কিত প্রতিবেদন;
  • খামারিদের নিয়ে গঠিত ৫,৫০০টি প্রোডিউসার গ্রুপ বা পিজি এবং কৃষক মাঠ স্কুলের কার্যক্রম; 
  • স্কুলগুলোতে প্রদত্ত আধুনিক পশুপাখি লালন-পালন, খামার ব্যবস্থাপনা, পশুখাদ্য উৎপাদন ও ব্যবহার, রোগবালাই নির্মূল, প্রাণিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি বিষয়ে চলমান হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ;
  • আধুনিক প্রযুক্তি-জ্ঞান হস্তান্তরের পাশাপাশি সরবরাহ করা হচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। ভিলেজ মিল্ক কালেকশন সেন্টার ও মিল্ক হাব স্থাপন, স্বাস্থ্যসম্মত মাংস ও মাংসজাত পণ্য নিশ্চিত করার জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্মিয়মান আধুনিক স্লটার হাউজ, স্লটার স্লাব ও ওয়েট মার্কেট;
  • নিয়মিত ওষুধ, টিকা, পশুখাদ্য, ম্যাচিং গ্রান্ট ও অন্যান্য সরঞ্জাম বিতরণ ও এর প্রভাব; এবং
  • প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও ডেইরি আইকন সেলিব্রেশনের মতো সৃজনশীল কার্যক্রম।

 

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব শ ম রেজাউল করিম এমপি, প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ফেলোশিপের আওতায় আপনারা আপনাদের মেধা, শ্রম ও দেশপ্রেমের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ খাতের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশের প্রাণিসস্পদের অগ্রযাত্রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আমি এ জন্য আপনাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

 

তিনি আরো বলেন, আশা করি আগামীতেও আপনাদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, সৃজনশীল প্রবন্ধ, অনন্য সাফল্য গাঁথা, সময়োপযোগী পরামর্শ এবং গঠনমূলক সমালোচনা প্রাণিসম্পদ খাতের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।