Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ নভেম্বর ২০২১

ময়মনসিংহ বিভাগে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন ও সংহতকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2021-11-20

ময়মনসিংহ বিভাগে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন ও সংহতকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে “প্রডিউসার গ্রুপ গঠন ও সংহতকরণ” বিষয়ে ২০ নভেম্বর ২০২১ তারিখে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে একটি বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে দিনব্যাপী এ কর্মশালা আয়োজন করে।

 

 

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) ডাঃ দীপক রঞ্জন রায়। কর্মশালায় সভাপতিত্ত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচালক ডাঃ সুশান্ত কুমার হালদার। এতে প্রাণিসম্পদ খাতের ময়মনসিংহ বিভাগের মোট প্রায় ১০০ জন জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা যোগ দেন। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এলডিডিপির প্রায় ৬০ জন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এ বিভাগ থেকে যুক্ত হন।  

 

ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে সরকার সম্ভব সবকিছু করছে। বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এলডিডিপির মাধ্যমে খামারিদের নিয়ে গ্রুপ গঠন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আর্থিক ও যন্ত্রপাতি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে যাতে দেশজ প্রাণিসম্পদের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়।

 

তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে একযোগে কাজ করার আহবান জানান যাতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিনত হওয়া সহজ হয়।

 

 

বিশেষ অতিথি এলডিডিপি’র প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) বলেন, একটি সুস্থ ও মেধাভিত্তিক জাতি গঠনে পুষ্টিকর ও নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের কোন বিকল্প নেই। আমরা যদি পর্যাপ্ত দুধ, ডিম ও মাংসের উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে আমাদের সন্তান-সন্ততিদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ত্বরান্বিত হবে, তিনি যোগ করেন।

 

কর্মশালায় প্রকল্পের কার্যক্রম, এফএও প্রদত্ত প্রযুক্তিগত সেবার অগ্রগতি এবং খামারিদের নিয়ে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন ও সংহতকরণ বিষয়ের উপর তিনটি প্রেজেন্টেশন তুলে ধরা হয়। এলডিডিপির চীফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ড. মো: গোলাম রাব্বানী, এফএও-এর টিম লিডার ড. জুলিয়াস মুচিমি এবং এফএও-এর ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ড. খান শহিদুল হক যথাক্রমে প্রেজেন্টেশন তিনটি উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এফএও-এর ন্যাশনাল এ্যানিমেল হেলথ এক্সপার্ট ড. এ.কে.এম. মোস্তফা আনোয়ার।

 

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, এলডিডিপির মাধ্যমে দেশের ৬১টি জেলার ৪৬৫টি উপজেলায় প্রান্তিক খামারিদের নিয়ে প্রাণিসম্পদ উৎপাদনকারী দল গঠন করা হচ্ছে। সমবায়ের ভিত্তিতে গঠিত প্রতিটি দলে থাকবে ২০ থেকে ৪০ জন প্রান্তিক খামারি, যাদের একটি বড় অংশ আসবে নারীদের মধ্য থেকে। এই দলগুলোই হবে দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের মূল কারিগর।

 

প্রান্তিক খামারিদের নিয়ে প্রোডিউসার গ্রুপ গঠনের উদ্দেশ্য ও প্রক্রিয়া, এর ক্যারেকটারাইজেশন, মোবিলাইজেশন এবং কাক্সিক্ষত ফলাফল বিষয়ে কর্মশালায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রশ্ন উত্তরের মধ্য দিয়ে মাঠ পর্যায়ে গ্রুপ গঠনের সুবিধা, অসুবিধা ও অগ্রগতির চিত্র উঠে আসে যা এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড লাইন প্রণয়ন এবং প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে বিশেষ সহায়ক হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।