Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩১st জানুয়ারি ২০২২

এগ্রো বিজনেস প্ল্যানিং, টেকনোলজিস অ্যান্ড মার্কেটিং অ্যাডভাইস অ্যান্ড ইমপ্লিমেনটেশন সাপোর্ট বিষয়ক ইনসেপশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2022-01-26

এগ্রো বিজনেস প্ল্যানিং, টেকনোলজিস অ্যান্ড মার্কেটিং অ্যাডভাইস অ্যান্ড ইমপ্লিমেনটেশন সাপোর্ট বিষয়ক ইনসেপশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের এগ্রো বিজনেস প্ল্যানিং, টেকনোলজিস অ্যান্ড মার্কেটিং অ্যাডভাইস অ্যান্ড ইমপ্লিমেনটেশন সাপোর্ট বিষয়ক একটি ইনসেপশন কর্মশালা ২৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে নিযুক্ত জার্মানিভিত্তক প্রতিষ্ঠান এএফসি এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফিন্যান্স কনসালটেন্টস এবং তাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সার্ভিসেস অ্যান্ড সলিউশনস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড যৌথভাবে কর্মশালাটি আয়োজন করে।

 

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব শ ম রেজাউল করিম, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী এবং সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা।

 

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে সরকার সবিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদিত সামগ্রী যাতে বিদেশে রপ্তানি করা যায় সেজন্য আমরা বিশ্বের উল্লেখযোগ্য দেশসমূহে বাজার সৃষ্টির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বেশ কয়েকটি দেশ আমাদের দেশ থেকে মাছ-মাংস আমদানির ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রাণিজাত খাদ্য উৎপাদনের সাথে যারা জড়িত আছেন তাদের নিশ্চিত করতে চাই যে, বিশ্ববাজারে আপনাদের উৎপাদিত সামগ্রী ছড়িয়ে দিতে সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।

 

বিদেশ থেকে কেন সব সময় মাছের খাদ্য ও পশুখাদ্য আমদানি করতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সামনে এমন প্রশ্ন রেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মাছ ও পশুর খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে কর অব্যাহতিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছে সরকার। দেশে মাছ ও প্রাণী খাদ্য তৈরির খাতকে এগিয়ে নিতে হবে।

 

 

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে শুধু উৎপাদন বৃদ্ধিই নয় বরং উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। দুধ ও মাংস থেকে বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী খাদ্য সামগ্রী তৈরির সুযোগ রয়েছে। এ খাতে সম্পৃক্তদের এর বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে হবে, মাংস জাতীয় পণ্য তৈরির দিকে দৃষ্টি প্রসারিত করতে হবে। মাংস থেকে চিপস তৈরি হতে পারে, বিস্কুট তৈরি হতে পারে। শুধু মাংস বিক্রির মাধ্যমে এ খাতকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। এজন্য বহুমুখীকরণ ও ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

 

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে যাতে মাংস আমদানি করতে না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কৌশলগত নীতি নির্ধারণ করেছি। আমাদের দেশে এখন পর্যাপ্ত গবাদিপশু রয়েছে, দেশেই পর্যাপ্ত মাংস উৎপাদন হচ্ছে। কেন বিদেশ থেকে আমরা মাংস আনবো? পর্যায়ক্রমে সেগুলো বন্ধের দিকে আমরা যাচ্ছি। সরকার এ ব্যাপারে সক্রিয় রয়েছে। তবে, সব সময় শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। সরকার বেসরকারি খাতকে উদ্বুদ্ধ করছে, উৎসাহিত করছে, সহযোগিতা দিচ্ছে। এ খাত সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা আমরা চাই।

 

তিনি জানান, দুধ উৎপাদন ও বিপণন সমস্যা সমাধানে প্রকল্পের আওতায় সরকার কুলিং সেন্টার করে দিচ্ছে, খামারিদের মিল্ক সেপারেটর মেশিন সরবরাহ করছে, উৎপাদিত দুধ সরবরাহে খামারিদের গ্রোথ সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্তদের সুবিধা দিতে সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে।

 

 

মাননীয় মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন ও বিস্তারে শুধু কাজ করলেই হবে না, এর গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। এ খাতে গুণগত মানসম্পন্ন সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করতে হবে। উৎপাদিত মাংস যেন মানবদেহের জন্য উপযোগী হয়, মাংস থেকে অন্যান্য পণ্য উৎপাদন করলে সেটা যেন মানসম্পন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও আন্তর্জাতিক মানের হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে যে খাবার ব্যবহৃত হবে সেটাও মানসম্পন্ন হতে হবে, মাননিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারে পরীক্ষাকৃত হতে হবে।

 

তিনি আরো যোগ করেন, করোনাকালে খামারিদের উৎপাদিত সামগ্রী যাতে মুখ থুবড়ে না পড়ে সেজন্য দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা ভ্রাম্যমাণ বিক্রি ব্যবস্থার মাধ্যমে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ভ্রাম্যমাণ বিক্রি ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত মাছের বা প্রাণীর খাবার বিমানবন্দর, নদীবন্দর বা সমুদ্রবন্দরে যাতে আটকে না থাকে সেজন্য আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্য সামগ্রীর পরিবহন স্বাভাবিক রেখেছি। লক্ষ্য ছিল উৎপাদনকারীরা যাতে বিপদে না পড়ে এবং উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করতে পারে।

 

 

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জনাব মো. আব্দুর রহিম। প্রকল্প কার্যক্রম সম্পর্কে একটি প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন প্রকল্পের চীফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রাব্বানী। ইনসেপশন রিপোর্ট উপস্থাপন করেন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মানব চক্রবর্তী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এগ্রো বিজনেস প্ল্যানিং, টেকনোলজিস অ্যান্ড মার্কেটিং অ্যাডভাইস অ্যান্ড ইমপ্লিমেনটেশন সাপোর্ট কর্মকান্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জনাব মো: ফরিদ উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সার্ভিসেস অ্যান্ড সলিউশনস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও এস এম ফেরদৌস আলমসহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরামর্শক, প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানী-গবেষক, উদ্যোক্তা এবং খামারিগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon